কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত মস্কোর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১৮:০১

রুশ সরকার সোমবার (১৭ জুলাই) জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তির বিষয়ে স্থগিতের সিদ্ধান্তে নিয়েছে পুতিন সরকার।
মস্কো জানায়, শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়াবে না তারা। এতে করে ইউক্রেন থেকে গম ও ভূট্টাসহ অন্যান্য শস্য রপ্তানি কার্যক্রম আপাতত বন্ধ হয়ে গেলো। ফলে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষ্করা।
এর আগে তুর্কি ও জাতিসংঘের সহায়তায় ২০২২ সালের জুলাইয়ে চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৩ এর ১৭ জুলাই সোমবার তুর্কী স্থানীয় সময় বিকাল ৫ টা পর্যন্ত নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ক্রেমলিন মূখুপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ এক প্রতিবেদনে জানান, চুক্তিটি বাতিল ঘোষণা করা হলো।
আরও বলেন, আমরা আমদের দায়িত্ব সম্পুর্ণ করেছি। চুক্তি অনুযায়ী আমাদের যা করার ছিল তা শিগগির বাস্তবায়ন করা হবে।
এর আগে গত সপ্তাহ শেষে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল শস্য রপ্তানী করা সেসব দেশে যেসব দেশে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে এটা সবাই বোধহয় এখনো অনুধাবন করতে পারেনি। অথচ অভিযোগ করা হচ্ছে, রাশিয়া শস্য রপ্তানীতে বাধা দিচ্ছে।
তবে পেস্কভ অবশ্য জানিয়েছেন চুক্তি নবায়ন ইস্যুতে আলোচনার জন্য দরজা খোলা রয়েছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত সপ্তাহে শস্য রপ্তানিএকমাত্র অন্তরায় হিসেবে রাশিয়ার দিকেই অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন।
চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল, কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেন শস্য রপ্তানি করতে পারবে। মূলত এর ফলে বিশ্ব খাদ্য সমস্যার একটা বর অংশের যোগান আসত যা কিনা আপাতত বন্ধ হয়ে গেল।
এদিকে ইউরোপিয় কমিশন বলছে, বিশ্বের মোট চাহিদার ১০ শতাংশ গম, ১৫ শতাংশ শস্য ও ১৩ শতাংশ বার্লির চাহিদার যোগান দিয়ে থাকে ইউক্রেন। এছাড়াও সূর্যমুখী তেলের জন্যও দেশটির বড় অবদান রয়েছে।
এর আগে এক প্রতিবেদনে ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও) জানিয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ৪৭ মিলিয়ন লোক চরম খাদ্য ঝুঁকিতে পড়বে।
তবে শস্য রপ্তানীর জন্য পুর্ব ইউরোপ হয়ে আরেকটি বিকল্প রুট থাকলেও যে পরিমাণ শস্য ইউক্রেন রপ্তানি করতে চায় সেটি করা সম্ভব নয় বলে দেশটি এই বিকল্প পথে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
সূত্র: সিএনএন